ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের ৪০৩ নাম্বার রুমের সিট বাকবিতন্ডা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা ও প্রক্টরিয়াল বডি আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এসময় উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের আশ্বাস দিলে সবাই নিজ নিজ কক্ষে ফিরে যান।

জানা যায়, লালন শাহ হলের ৪০৩ নং কক্ষে বৈধ দুই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করায় ওই সিটে অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী শাকিল অতিথি হিসেবে দুইজন শিক্ষার্থীকে রাখেন। অন্যদিকে ফোকলোর স্টাডিজ ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ওই সিটে ২০২০-২১ এর এক শিক্ষার্থী উঠাতে চান।

এ নিয়ে মোস্তাফিজ শনিবার (২৩ জুলাই) রাত ১১টার দিকে অতিথি হিসেবে রাখা শিক্ষার্থীদের সিট খালি করে দিতে বলেন এতে বাঁধা দেন শাকিল। এ ঘটনায় উভয়ের মাঝে কক্ষের সামনে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ঘটনার জের ধরে রোববার (২৪ জুলাই) ভোররাত ৩টার দিকে শাকিলকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে মোস্তাফিজের বিরুদ্ধে।

শাকিলের অভিযোগ, রাতে হলের করিডরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মোস্তাফিজ এসে তাকে হুমকি-ধমকি দেন। একপর্যায়ে চড়-থাপ্পড় দেন ও মারধর করেন। এ সময় মোস্তাফিজের সঙ্গে ছাত্রলীগকর্মী ইসতিয়াক আহমেদ শাওন, মিরাজুল ইসলাম, আশিক, রাসেল ও রাফি মারধরের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেন বলে অভিযোগ শাকিলের।

পরে লালন শাহ হল ও অন্যান্য হল থেকে আসা শাকিলের বন্ধুরা মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হলে তিনি লুকিয়ে পড়েন। এতে শাকিল ও তার বন্ধুরা ক্ষুব্ধ হয়ে করিডরে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন জায়গায় মোস্তাফিজকে খুঁজতে থাকেন। এ সময় ওই হল ও অন্য হল থেকে আসা ছাত্রলীগের সিনিয়ররা তাদের শান্ত হতে বললেও তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে থাকেন।

এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৪০৩ নং রুমে ওই দুই সিটে সিনিয়র শিক্ষার্থীরা না থাকায় ওই রুমে শাকিল ও তার কয়েকজন বন্ধু নিয়মিত মাদক সেবন করে বলে অভিযোগ করে আসছে ওই ব্লকের অন্য শিক্ষার্থীরা।

এতে অন্য হল থেকে আসা শাকিরের বন্ধু সিনহা, জ্যোতি, বন্ধনসহ অন্য কয়েকজন আসরে যোগ দেয়। এটি রোধে নতুন একজনকে তুলতে চেয়েছিলাম। এতে ওদের আসর বসাতে সমস্যা হবে, এ জন্য শাকিল ওই ছেলেকে উঠাতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে উভয়ের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়েছে। রাত ৩টার দিকে চা খেয়ে ওপরে আসার সময় আবার বাগবিতণ্ডা শুরু করলে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে লালন শাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. ওবাইদুল ইসলাম, আমরা এই বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম সমাধান ও হয়েছে। এখন আপাতত সবগ্রুপকে মিলিয়ে দিয়ে পরিবেশ ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করেছি। তাদের উভয়ের বক্তব্য গুলো শুনেছি। যেখানে যা ক্রটি আছে তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।